খালি চোখে লক্ষ্যণীয় উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য এবং টিস্যুর শ্রমবন্টন নির্ণয়
এসএসসি ২০২১ এর সুপ্রিয় পরীক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য প্রণীত এসএসসি পরীক্ষা ২০২১ জীববিজ্ঞান ১ম এ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা উত্তর (খালি চোখে লক্ষ্যণীয় উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য এবং টিস্যুর শ্রমবন্টন নির্ণয়) প্রণয়ন করা হয়েছে। তোমরা যারা সরকারি, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০২১ পরীক্ষার্থী আছো তোমাদের ১ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট জীববিজ্ঞান বিষয়ের একটি নির্ধারিত কাজ দেয়া হয়েছিল। যথাযথ মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে তোমাদের জন্য জীববিজ্ঞান ১ম এ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর দেওয়া হল।
এসএসসি পরীক্ষা ২০২১ জীববিজ্ঞান ১ম এ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর
বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নের লক্ষ্যে দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন সরকারি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ২০২১ প্রথম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ১৮ জুলাই ২০২১ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর অ্যাসাইনমেন্ট গ্রিট সহ এসএসসি পরীক্ষা ২০২১ এর প্রথম তিন সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করে।
শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করার পর সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষকের নিকট এই অ্যাসাইনমেন্ট গুলো জমা দিতে হবে এবং শিক্ষক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন অনুসরণ করে এসাইনমেন্ট সমূহ মূল্যায়ন করার পর তার তথ্য সংরক্ষণ করবেন।
এসএসসি পরীক্ষা ২০২১ জীব বিজ্ঞান ১ম এ্যাসাইনমেন্ট
প্রথম সপ্তাহে দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের জন্য পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারিত কাজ প্রদান করা হয়েছে।
স্তরঃ এস.এস.সি পরীক্ষা ২০২১, বিভাগঃ বিজ্ঞান, বিষয়ঃ জীব বিজ্ঞান, বিষয় কোডঃ ১৩৮, মোট নম্বরঃ ১০, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর-০১
অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনামঃ দ্বিতীয় অধ্যায়: জীবকোষ ও টিস্যু
অ্যাসাইনমেন্টঃ খালি চোখে লক্ষ্যণীয় উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য এবং টিস্যুর শ্রমবন্টন নির্ণয়।
শিখনফল ও বিষয়বস্তুঃ
- ১. উদ্ভিদ কোষের প্রধান অঙ্গাণুর কাজ ব্যাখ্যা করতে পারব।
- ২. জীবদেহে কোষের উপযােগিতা মূল্যায়ন করতে পারব।
- ৩. উদ্ভিদ টিস্যু ব্যাখ্যা করতে পারব।
- ৪. একই রকম কোষ সমষ্টির ও একই কাজ সম্পন্ন করার ভিত্তিতে টিস্যুর কাজ মূল্যায়ন করতে পারব।
নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ পরিধি):
- ধাপ – ১ পাঠ্যপুস্তকের ২০-২১ পৃষ্ঠা, ২৩-২৪ পৃষ্ঠা এবং ২৮-৩৩ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।
- ধাপ – ২ খাতায় নিচের মতাে দুটি ছক করতে হবে:
- ধাপ-৩: পর্যবেক্ষণের ছকটি আগে পূরণ করতে হবে। হাত, ছুরি, বটি ইত্যাদি ব্যবহার করে উল্লিখিত ফল ও সজির খােসা ছাড়িয়ে অথবা কেটে খাওয়ার সময় প্রতিটি অংশের দৃঢ়তা লক্ষ্য করে সেই অনুসারে সেসব ঘরে টিক চিহ্ন দিতে হবে। আর যেসব ঘরে কোনাে বৈশিষ্ট্য প্রযােজ্য নয় সেগুলােতে ক্রস চিহ্ন দিতে হবে। তবে রং-এর ঘরে রঙের নাম লিখতে হবে।
- ধাপ-৪: পর্যবেক্ষণের ছকে যা কিছু উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ নির্ণয়ের ছকে সেগুলোর সমতুল্য ঘরগুলােতে সেই বৈশিষ্ট্যগুলাের কারণ লিখতে হবে।
রঙের বিভিন্নতার কারণগুলাে প্রতিটি ঘরে একটি করে মােট সাতটি হবে। দৃঢ়তার বিভিন্ন মাত্রার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণের ছকে প্রতি সারিতে শুধু যে ঘরে টিক চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল, সেই ঘরের সাপেক্ষে কারণ উল্লেখ করতে হবে। ক্রস-চিহ্নিত ঘরসমূহের কারণ উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। তাই দৃঢ়তার মাত্রার বিভিন্নতার কারণও মােট সাতটি হবে। কারণ নির্ণয়ের ছকে বাকি ঘরগুলাে ফাঁকা থাকবে।
সাবধানতা: ধারালাে যন্ত্র ব্যবহারের সময় যেন হাত না কেটে যায়, সে ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। অবশ্যই পরিবারের বয়ােজ্যেষ্ঠ কারাে। তত্ত্বাবধানে কাজটি করতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষা ২০২১ জীববিজ্ঞান ১ম এ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর
কোষ হলো সকল জীবদেহের গঠন, বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ ও বংশগতিমূলক তথ্য বহনকারী একক। এটি জীবের ক্ষুদ্রতম জীবিত একক, অর্থাৎ একটি কোষকে পৃথকভাবে জীবিত বলা যেতে পারে। এজন্যই একে জীবের নির্মাণ একক নামে আখ্যায়িত করা হয়।
কোষ সম্পর্কে জার্মান উদ্ভিদবিজ্ঞানী শ্নাইডেন, প্রাণীবিজ্ঞানী থিওডোর শভান এবং পরে রুডলফ ভির্শভ (Rudolf. Virchow) ১৮৮৫ সালে কোষ তত্ত্ব প্রদান করেন, যাতে বলা হয়েছে,
- কোষ হলো জীবন্ত সত্তার গাঠনিক, শারীরিক ও সাংগাঠনিক একক।
- জীবনের মৌলিক একক।
- কোষ বংশগতির একক।
- সকল জীব এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত এবং পূর্বসৃষ্ট কোষ থেকেই নতুন কোষের সৃষ্টি হয় ।
খালি চোখে লক্ষ্যণীয় উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য এবং টিস্যুর শ্রমবন্টন নির্ণয়-
উদ্ভিদকোষ, মূলত ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির। একটি আদর্শ উদ্ভিদ কোষ বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত-কোষ প্রাচীর, কোষ ঝিল্লি, সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস । একটি আদর্শ উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য এবং টিস্যুর শ্রমবন্টন :
আকার ও আয়তনে বেশ ছোট হলেও কোষের গঠন এবং কাজ বেশ জটিল। একটি আদর্শ উদ্ভিদ কোষ প্রধানত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত – কোষ প্রাচীর এবং প্রোটোপ্লাজম। একটি আদর্শ উদ্ভিদ কোষের বিভিন্ন অংশের গঠন বৈশিষ্ট্য ও কাজ আলোচনা করা হলোঃ
কোষ প্রাচীর ও কোষ ঝিল্লীঃ
কোষ প্রাচীর কোষের বহিরাবরণী। এটি জড় সেলুলোজ নির্মিত এবং উদ্ভিদ কোষের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। প্রাণী কোষে কোন কোষ প্রাচীর থাকে না। কোষ প্রাচীর কোষকে নির্দিষ্ট আকৃতি ও দৃঢ়তা প্রদান করে । যে সুক্ষ্ম স্থিতিস্থাপক, সজীব আবরণী কোষের সাইটোপ্লাজমকে ঘিরে রাখে তাকে কোষ ঝিল্লী বা কোষ পর্দা বলে। কোষ ঝিল্লী কোষের বাইরে এবং ভেতরে পদার্থের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রোটোপ্লাজমঃ
প্রোটোপ্লাজম কোষের মূল গঠন উপাদান। এতে পানির পরিমাণ শতকরা প্রায় ৭৫ থেকে ৯৫ ভাগ। নিউক্লিয়াস, মাইটোকন্ড্র্রিয়া, প্লাস্টিড ইত্যাদি প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে ভাসমান বা ডুবন্ত অবস্থায় থাকে। প্রোটোপ্লাজম আমিষ, শর্করা, লিপিড ইত্যাদি জৈব পদার্থ সমন্বয়ে গঠিত। অজৈব দ্রব্যের মধ্যে খনিজ পদার্থ এবং পানিতে দ্রবীভূত গ্যাস প্রধান। কোষের সমস্ত কাজ প্রোটোপ্লাজমে সম্পন্ন হয়। এটা সাধারণত গতিশীল এবং বংশবিস্তারে সক্ষম।
সাইটোপ্লাজমঃ
নিউক্লিয়াসকে বেস্টনকারী প্রোটোপ্লাজমের অংশটি হচ্ছে সাইটোপ্লাজম। এটি প্রধানত আমিষ দিয়ে তৈরী। সাইটোপ্লাজমে কোষের যে প্রধান অংগানুগুলো থাকে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
মাইটোকন্ড্রিয়াঃ
মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শ্বসন অঙ্গানু। কোষের জৈবিক কাজ পরিচালানার জন্য যে শক্তি প্রযোজন তার একমাত্র উৎস মাইটোকন্ড্রিয়া। তাই একে কোষের শক্তিঘর বলা হয়। সমস্ত অক্সিজেন পরিবহন ও শ্বসন কাজ পরিচালনায় এটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। মাইটোকন্ড্রিয়া দেখতে গোলাকার, দন্ডাকার বা সূত্রাকার। উদ্ভিদ এবং প্রাণী কোষের সাইটোপ্লাজমে এরা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো থাকে। মাইটোকন্ড্রিয়া দুটি আবরণী দিয়ে তৈরী। বাইরের আবরণীটি মসৃণ কিন্তু ভেতেররর আবরণীটি নানাভাবে ভাঁজ হয়ে ভেতরের দিকে ঝুলে থাকে। ঝুলে থাকা ভাঁজগুলোকে ক্রিস্টি বলে। মাইটোকন্ড্রিয়ায় প্রায় ৭৩% প্রোটিন, ২৫% লিপিড এবং ০.৫% আরএনএ থাকে। মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতরের অর্ধতরল দানাদার পদার্থকে ম্যাট্রিক্স বলে।
কোষ গহবরঃ
সাইটোপ্লাজমে একক পর্দা বেষ্টিত তরলে পূর্ণ গহবরকে কোষ গহবর বলে। কোষ গহবরে পানি, জৈব এসিড, শর্করা, খনিজ লবণ ইত্যাদি জমা থাকে। উদ্ভিদের কোষ গহবর বেশ বড় এবং কোষের বেশির ভাগ জায়গা জুড়ে অবস্থান করে। প্রাণী কোষের কোষ গহবর আকারে অত্যন্ত ক্ষুদ্র কিন্তু সংখ্যায় বেশি। এটি কোষের ভান্ডার হিসেবে কাজ করে।
প্লাস্টিড বা বর্ণাধারঃ
উদ্ভিদ কোষে বর্ণযুক্ত বা বর্ণহীন যে অংগানণু দেখ্ যায় তাকে প্লাস্টিড বা বর্ণাধার বলে। প্লাস্টিড উদ্ভিদ কোষের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। এর উপস্থিতির কারণে উদ্ভিদের পাতা, ফুল ও ফলের বর্ণ বৈচিত্র্য দেখা যায়। যে প্লাস্টিড সবুজ ক্লোরোফিল ধারণ করে তাকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। ক্লোরোপ্লাস্ট এর জন্য উদ্ভিদের পাতা সবুজ দেখায়। ক্লোরোপ্লাস্টে ক্লোরোফিল থাকে। ক্লোরোফিল সালোকসংশ্লেষণে সাহায্য করে।
সবুজ বর্ণ ব্যতীত অন্যান্য বর্ণ (লাল, হলুদ) বিশিষ্ট প্লাস্টিডকে ক্রোমোপ্লাস্ট বলে। এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যারোটিন এবং য্যান্থফিল থাকে। ক্রোমোপ্লাস্টের জন্য ফুল ও ফল বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে। আর এ কারণে কীটপতঙ্গ, প্রজাপতি ফুলের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং পরাগায়ন ঘটায়। বর্ণহীন প্লাস্টিডকে লিউকোপ্লাসট বলে। এটি উদ্ভিদের মাটির নিচের অংশে (মূল ভূ নিম্নস্থ কান্ড) পাওয়া যায়। এটি খাদ্য সঞ্চয় করে রাখে।
নিউক্লিয়াসঃ
প্রোটোপ্লাজমের সর্বাপেক্ষা ঘন, প্রায় গোলাকার কোষীয় অঙ্গাণুটিকে নিউক্লিয়াস বলে। নিউক্লিয়াস কোষের সমস্ত জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। নিউক্লিয়াস একটি সূক্ষ্ম সজীব আবরণী দিয়ে সাইটোপ্লাজম থেকে পৃথক থাকে। এ সজীব আবরণীকে নিউক্লিয়ার আবরণী বলে। নিউক্লিয়াসের ভেতরে আমিষের তৈরী তরল পদার্থকে নিউক্লিওপ্লাজম বলে। এক বা একাধিক যে উজ্জ্বল ঘন গোলাকার বস্তু নিউক্লিয়াসে থাকে তাকে নিউক্লিওলাস বলে। নিউক্লিওলাস কোষ বিভাজনে অংশগ্রহণ করে। নিউক্লিয়াসের মধ্যে লম্বা সূতার মত কতকগুলো বস্তু দেখা যায় সেগুলো ক্রোমোসোম। অসংখ্য অতি সূক্ষ্ম জীন বা বংশাণু নিয়ে ক্রোমোসোম তৈরী। জীনের রাসায়নিক উপাদান হচ্ছে ডিএনএ। জীনের মাধ্যমে বাব-মা থেকে জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, যেমন-দেহের আকার, আয়তন, রং, লিঙ্গ ইত্যাদি সন্তান সন্ততিতে পরিবাহিত হয়। তাই ক্রোমোসোমকে বংশগতির ধারক ও বাহক বলে।
অতিরিক্ত তথ্য 🙂
নিউক্লিয়াস কোষের সমস্ত জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। নিউক্লিয়াস ছাড়া কোষ বেঁচে থাকতে পারেনা। তাই একে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলে। মানবদেহের প্রতিটি দেহ কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোসোম থাকে। তার মধ্যে ২২ জোড়া দেহের গঠন প্রণালী ও জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে, বাকী একজোড়া সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে। স্ত্রী লোকদের ডিপ্লয়েড কোষে দুটি লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোসোমই এক্স ক্রোমোসোম। কিন্তু পুরুষদের বেলায় একটি এক্স ও অপরটি ওয়াই ক্রোমোসোম। স্ত্রী লোকদের ডিম্বাণু গঠনের সময় প্রতিটি ডিম্বাণু অন্যান্য ক্রোমোসোমের সাথে একটি করে এক্স ক্রোমোসোম লাভ করে। কিন্তু পুরুষদের শুক্রাণু সৃষ্টির সময় অর্ধেক শুক্রাণু এক্স ক্রোমোসোম এবং বাকি অর্ধেক শুক্রাণু ওয়াই ক্রোমোসোম লাভ করে। গর্ভধারণকালে এক্স ক্রোমোসোমবাহী শুক্রাণু যদি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে তবে নিষিক্ত ডিমের ক্রোমোসোম হবে এক্স এক্স এবং সন্তান হবে কন্যা। অপরপক্ষে, ওয়াই ক্রোমোসোমবাহী শুক্রাণু যদি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে তবে নিষিক্ত ডিমের ক্রোমোসোম হবে এক্স ওয়াই এবং সন্তান হবে পুত্র।
খালি চোখে লক্ষ্যণীয় উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য এবং টিস্যুর শ্রমবন্টন নির্ণয়।
উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণিকোষের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হলো উদ্ভিদ কোষে প্লাজমা আবরণীর বাইরে সেলুলোজের তৈরী জড় কোষ প্রাচীর থাকে কিন্তু প্রাণিকোষের প্লাজমা আবরণী থাকে , কোষ প্রাচীর থাকেনা। আরও লক্ষ্যণীয় যে, উদ্ভিদ কোষে সাধারণত প্লাস্টিড থাকে, প্রাণিকোষে থাকেনা। উদ্ভিদ কোষে গহবর বড় হওয়ায় নিউক্লিয়াস কোষের একদিকে অবস্থান করে। অন্যদিকে প্রাণিকোষের গহবর অত্যন্ত ছোট এবং সংখ্যায় অনেক বেশি থাকে। ফলে নিউক্লিয়াস কোষের কেন্দ্রে থাকে। উদ্ভিদ কোষে শর্করা স্টার্চরূপে মজুত থাকে, কিন্তু প্রাণিকোষে শর্করা গ্লাইকোজেনরূপে মজুদ থাকে। উদ্ভিদ কোষে সেন্ট্রোসোম থাকেনা, কিন্তু প্রাণিকোষে সব সময় সেন্ট্রোসোম থাকে।
এই ছিল তোমাদের এসএসসি পরীক্ষা ২০২১ জীববিজ্ঞান ১ম এ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা উত্তর- খালি চোখে লক্ষ্যণীয় উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য এবং টিস্যুর শ্রমবন্টন নির্ণয়।
আরো দেখুন-
অনুমতিবিহীন বাংলা নোটিশ এর কোন তথ্য কপি করে কোন ওয়েবসাইটে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করলে সাথে সাথেই গুগলে কপিরাইট ক্লেইম করা হবে। তোমাদের প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ ডট কম এর এন্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে নাও। এখানে এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে পেয়ে যাবে।
এছাড়াও তোমার মনে থাকা যেকোন প্রশ্ন এখানে করার সুযোগ রয়েছে; নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য অ্যাপটি ডাউনলোড করে নাও;
লেখা কপি করা আটকানো এতটাই সোজ????
আটকানোর বৃথা চেষ্টা করা আর কি!